বিশ্বে সভ্যতার সুচনা হতে বর্তমান সময় অব্দি যতপ্রকার সাধনা, দোওয়া, তাবিজ, মন্ত্র, তন্ত্র, টোনা, টোটকা, নকশা. যন্ত্র ইত্যাদি আছে তার ভিতর সবচাইতে পাওয়ারফুল হলো “ত্রাটক”।
এই “ত্রাটক” সাধনের ফলেই আগের দিনের মনি ঋষিগন ও অন্নান্য পীর দরবেশগন, নানান অলৈকিক কর্মকান্ড করেগেছেন।
বর্তমানে আমাদের মাঝে যে সকল ব্যক্তিগন দোওয়া / মন্ত্র ইত্যাদি নিয়ে সফলকাম, বা আধ্যাত্মিক জগতে অনেক উচু স্তরের তেনাদের সকলেরই মূল সুর এই ত্রাটক সাধনা। আমরা ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে আলোচনা করি। মনে করুন জীবনের আসল মার্গ দর্শনের জন্য নির্দিষ্ট একটি কাজ করতে হবে। তাহলে আপনি সেই আকাঙ্খীত লক্ষ্যে পৌঁছাতে অবশ্যই উদ্দিষ্ট কাজ করবেন। এখন দেখুন আমাদের সমাজে বা জগতে যে সকল প্রভু মহাপ্রভু, মহামানব, আধ্যাত্মিক গুরু, মুনি ঋষি, দরবেশ, পীর ইত্যাদি রয়েছে সকলে কিন্তু কখনই একটি নির্দিষ্ট পথে বা নির্দিষ্ট ধর্মের মাধ্যম হয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায়নি, তাদের সকলের কাজের ধারা এক ছিলো কিন্তু জীবনাদর্শ্য ছিলো ভিন্ন ভিন্ন। তেনাদের সেই অভিন্ন কর্ম যা দ্বারা মোক্ষ লাভ করেছে, নিজেকে চিনেছে, নফসকে করায়ত্ব করেছে, বিশ্বকে করেছে মুষ্টিগত, মৃত্যুকে করেছে আয়ত্বাধীন, ব্যর্থতার চাদরকে করেছে ছিন্ন। আমরা সেই মহামূল্যবান অতিগোপনীয় কর্মযোগকে বিংশ সতাব্দির বিজ্ঞানের সংমিশ্রনে নতুন প্রজন্মের জন্য সহজ সাধ্য করে যে তন্ত্র বিজ্ঞান সাধনার নবদিক উন্মোচন করেছি, সেটিকেই “ত্রাটক সাধনা” নামে অবহিত করা হচ্ছে। আদিতে ত্রাটক সাধনা বলতে কোন তান্ত্রিক সাধনা জগতে ছিলো না, আমরাই এর সৃষ্টিকর্তা।
বর্তমানে মানুষের মাঝে ধর্য্য ও সময় দুই খুব কম, এবং সবচাইতে কম ন্যায়পরায়নতা সততা, নিষ্ঠা, মুখের কথার মূল্যবোধ। তার চাইতে বেশি সমস্যা হচ্ছে পেটের চিন্তা। আমাদের প্রয়োজন নগদ অর্থ এবং সেটাও জলদি। আর তাই আমরা এগুলো থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছি। অনেকেই তো বিশ্বাষ
পর্যন্ত করতে চায় না, যে মানুষের পক্ষে এ সকল কাজ করা সম্ভব।।
তাই বর্তমানে শুধু মাত্র একটি পথ খোলা আছে একজন সাধারন মানুষ অসাধারন অলৈকিক ক্ষমতার অধিকারী হতে পারার, আর তা হলো “ত্রাটক”। কারন ত্রাটক সাধনায় সময় অত্যন্ত কম লাগে, একজন মানুষের মাঝে গুটিকয়েক লক্ষন দেখেই বোঝা যায় সে এই সাধনা করতে সক্ষম কি না। এর ফলাফল দ্রুত ঠিক যেমন বর্তমানে রিমট-কন্ট্রোল এর ব্যবহারের মতই। মানুষের কল্পনার চাইতেও শক্তিশালী এই ক্ষমতা। ব্যবহারের জন্য এর নির্দিষ্ট কোন নিয়মাবলি নেই। যে কেউ শুধু অনুশীলনেই হয়ে উঠতে পারে অতিমানব। তবে এর সবচাইতে বড় বাধা হচ্ছে গোপনিয়তা। শক্তি সর্ম্পকে গোপনিয়তা রক্ষা করতে না পারলে শক্তি নিশ্বেষ হতে পারে। আপনি যা চান আর যা চান নি সবই করতে পারেন এই একটি মাত্র বিদ্যায়।।